প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে তেল, গ্যাস উত্তোলনের জন্য ইতোমধ্যেই টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। এই ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। বলেন, আমরা চাই তেল, গ্যাসের সঠিক ব্যবহার। বিশাল সমুদ্রসীমার সম্পদ ব্যবহার করে দেশের মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতি করাই আ. লীগ সরকারের লক্ষ্য। ভূ কৌশলগত অবস্থানের কারণে বাংলাদেশে যারা বিনিয়োগ করবে তারাই লাভবান হবে।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট, ১৯৭৪ (অ্যাক্ট নং ২৬, ১৯৭৪)’ প্রণয়নের ৫০ বছর পূর্তিতে ‘সুবর্ণজয়ন্তী’ উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত মহাসাগরীয় নৌপথে দ্বন্দ্ব চায় না বাংলাদেশ। সরকার সমুদ্রবন্দরগুলোর আধুনিকায়ন করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে অনেক জায়গায় সংঘাত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আমরা সংঘাত চাই না, আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। কারণ সংঘাত সংঘর্ষ কখনো শান্তি দিতে পারে না। এতে উন্নয়ন ব্যাহত হয়।
তিনি বলেন, আমরা পেছনে ফিরে তাকাতে চাইনা। আধুনিক জ্ঞান সম্পন্ন ও প্রযুক্তি নির্ভর জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এগিয়ে যেতে চাই বীর দর্পে।
এ সময় বিভিন্ন দেশের যুদ্ধের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, শান্তি, প্রগতি ও উন্নতির পথ দেখায়, উন্নত জীবন দেয়। আমরা সেজন্য শান্তি চাই। যুদ্ধ চাই না। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় সেটি আছে। পাশাপাশি আমাদের অধিকার যাতে প্রতিষ্ঠিত হয়, সে উদ্যোগ নিয়েছি।
বিশাল সমুদ্রসীমায় বাংলাদেশের কোনো অধিকার ছিল না জানিয়ে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যা করে, সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা ক্ষমতায় এসেছিল, ২১টা বছর তারা সমুদ্রসীমার অধিকার নিয়ে কোনো কথা বলেনি। অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসা কোনো সরকার, বিশাল সমুদ্রসীমায় অধিকার প্রতিষ্ঠায় কোনো রকম উদ্যোগও নেয়নি। শুধু সমুদ্রসীমা নয়, স্থলসীমা চুক্তিও তিনি (বঙ্গবন্ধু) করে গেছেন। পরবর্তীতে সেটা আর কার্যকর করা হয়নি। পরবর্তীতে আমরা যখন সরকারে আসি, সে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ শুরু করি। তবে কাজগুলো করা হয় খুব গোপনীয়তার সঙ্গে।